যিনারা বাচ্চাকাচ্চাদের হরলিক্স,
কমপ্ল্যান, বুস্ট, মালটোভা ইত্যাদি খাওয়ান তিনাদের লেখাটা পড়া খুবই জরুরী।
(সংগৃহীত)
ইন্ডিয়া তে হরলিক্স এর
“টলার,স্টংগার, শার্পার”
বিজ্ঞাপন চরম তুঙ্গে ।
একই হরলিক্স এর বিজ্ঞাপন প্রচার
করছিল নেপালী এক চ্যানেল।
নেপালী সেই চ্যানেল ব্রডকাস্ট হচ্ছিল লন্ডনের কিছু নেপালী পাড়ায়।
লন্ডনের এক এডভোকেট তো সেই বিজ্ঞাপন দেখে আকাশ থেকে পড়লেন।
কারন ব্রিটেনে “ঘুমের পিল” এইড হিসেবে খাওয়ানো হয় হরলিক্স মল্টেড দুধকে ।
সেটা কিভাবে টলার স্ট্রংগার শার্পার করে সেটা জানতে আইনী নোটিশ পাঠিয়ে দেন।
পরে সেই দেশে এই বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয় সরকারী ভাবে।
তারা তখন মস্করা করেই বলেছিল- “দক্ষিন এশিয়ানরাই এই সব জিনিস খাবার হিসেবে খাবে”।
তাই
হচ্ছে আজকাল আমাদের দেশে ।
আমাদের দৈনিক খাবারের আইডিয়াল মেনু কে “RDA” বলে ।
আর ব্যালেন্সড ডায়েট হইতে যা যা লাগে তার খুব সামান্যই আছে এইসব খাবারে ।
আসল কথা হলো- হরলিক্স অথবা কমপ্লান এর মত খাবার US FDA এপ্রুভড না।
তবুও সবাই খাচ্ছে মুড়ির মত।
আর বিজ্ঞাপনের প্যাচে পড়ে – সব পুষ্টি গুনের আশায়
ভাত মাছ বাদ দিয়ে হরলিক্স আর কমপ্লান নিয়ে পড়ে থাকেন মায়েরা।
“বর্নভিটা” নামক আরেক দুধ কোম্পানী দাবী করে – তাদের দুধে দৈনিক চাহিদার ৪০% ভাগ প্রোটিন চাহিদা পুরণ করে।
অথচ তাদেরি ফাইন প্রিন্টে লেখা আছে বর্নভিটার দুধে খুব সামান্যই প্রোটিন আছে।
খাড়ার উপ্রে কেমন কথা ঘুরিয়ে নেয় এরা।
হরলিক্স এবং কমপ্লান দুটো কোম্পানীই দাবী করে তাদের দুধে সুষম পরিমানে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট,
ফ্যাট, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে।
কিন্তু কমপ্লানে প্রতি ১০০ গ্রামে এদের পরিমান যথাক্রমে ১৮ গ্রাম, ৬২ গ্রাম, ১১ গ্রাম, ৮০০ মিগ্রা ও ৭৮০ মিগ্রা ।
আর সেখানে হরলিক্সে প্রতি ১০০ গ্রামে এদের পরিমান যথাক্রমে – ১১ গ্রাম, ১৪ গ্রাম, ২ গ্রাম , ৭৪১ মিগ্রা ও ২৮০ মিগ্রা ।
এদের তুলনায় বর্নভিটা ও
বুস্টে এদের পরিমান অনেক কম থাকে।
তাহলে এখন বলুন কোনটা আসলে সুষম।
দামের হিসাবে কিন্তু সবাই একই সমান প্রায়।
সুতরাং আপনার শিশুর পুষ্টি চাহিদা ডায়েটিশিয়ানের কাছে গিয়ে করুন।
বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ হয়ে ভুল বুঝে না।
যাই হোক- জীবনের প্রথম ৬ মাস মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু বছরের পর বছর যদি বাচ্চা কে সাপ্লিমেন্টারি ফুড না দিয়ে দুধের উপর নির্ভরশীল করে ফেলেন ,
তাহলে “মিল্ক ইঞ্জুরি” নামক রোগের শিকার হতে পারে আপনার বাচ্চা। সেই বাচ্চা ফুলাফাপা থাকবে (edematous) প্রোটিনের অভাবে।
কিন্তু ভিতর দিয়ে সব ধরনের নিউট্রিশনাল ডেফিসিয়েন্সি তে ভুগবে। তখন কই যাইবো গিয়া টলার স্ট্রংগার শার্পার।
# বিজ্ঞাপন মানুষের মাথায় ভুত হিসেবে ঢুকছে। আপনার বিবেচনা ও বিবেককে নষ্ট করে দিচ্ছে। সচেতন
হোন নিজের জন্য । নিজের সন্তানের জন্য।
কমপ্ল্যান, বুস্ট, মালটোভা ইত্যাদি খাওয়ান তিনাদের লেখাটা পড়া খুবই জরুরী।
(সংগৃহীত)
ইন্ডিয়া তে হরলিক্স এর
“টলার,স্টংগার, শার্পার”
বিজ্ঞাপন চরম তুঙ্গে ।
একই হরলিক্স এর বিজ্ঞাপন প্রচার
করছিল নেপালী এক চ্যানেল।
নেপালী সেই চ্যানেল ব্রডকাস্ট হচ্ছিল লন্ডনের কিছু নেপালী পাড়ায়।
লন্ডনের এক এডভোকেট তো সেই বিজ্ঞাপন দেখে আকাশ থেকে পড়লেন।
কারন ব্রিটেনে “ঘুমের পিল” এইড হিসেবে খাওয়ানো হয় হরলিক্স মল্টেড দুধকে ।
সেটা কিভাবে টলার স্ট্রংগার শার্পার করে সেটা জানতে আইনী নোটিশ পাঠিয়ে দেন।
পরে সেই দেশে এই বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয় সরকারী ভাবে।
তারা তখন মস্করা করেই বলেছিল- “দক্ষিন এশিয়ানরাই এই সব জিনিস খাবার হিসেবে খাবে”।
তাই
হচ্ছে আজকাল আমাদের দেশে ।
আমাদের দৈনিক খাবারের আইডিয়াল মেনু কে “RDA” বলে ।
আর ব্যালেন্সড ডায়েট হইতে যা যা লাগে তার খুব সামান্যই আছে এইসব খাবারে ।
আসল কথা হলো- হরলিক্স অথবা কমপ্লান এর মত খাবার US FDA এপ্রুভড না।
তবুও সবাই খাচ্ছে মুড়ির মত।
আর বিজ্ঞাপনের প্যাচে পড়ে – সব পুষ্টি গুনের আশায়
ভাত মাছ বাদ দিয়ে হরলিক্স আর কমপ্লান নিয়ে পড়ে থাকেন মায়েরা।
“বর্নভিটা” নামক আরেক দুধ কোম্পানী দাবী করে – তাদের দুধে দৈনিক চাহিদার ৪০% ভাগ প্রোটিন চাহিদা পুরণ করে।
অথচ তাদেরি ফাইন প্রিন্টে লেখা আছে বর্নভিটার দুধে খুব সামান্যই প্রোটিন আছে।
খাড়ার উপ্রে কেমন কথা ঘুরিয়ে নেয় এরা।
হরলিক্স এবং কমপ্লান দুটো কোম্পানীই দাবী করে তাদের দুধে সুষম পরিমানে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট,
ফ্যাট, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে।
কিন্তু কমপ্লানে প্রতি ১০০ গ্রামে এদের পরিমান যথাক্রমে ১৮ গ্রাম, ৬২ গ্রাম, ১১ গ্রাম, ৮০০ মিগ্রা ও ৭৮০ মিগ্রা ।
আর সেখানে হরলিক্সে প্রতি ১০০ গ্রামে এদের পরিমান যথাক্রমে – ১১ গ্রাম, ১৪ গ্রাম, ২ গ্রাম , ৭৪১ মিগ্রা ও ২৮০ মিগ্রা ।
এদের তুলনায় বর্নভিটা ও
বুস্টে এদের পরিমান অনেক কম থাকে।
তাহলে এখন বলুন কোনটা আসলে সুষম।
দামের হিসাবে কিন্তু সবাই একই সমান প্রায়।
সুতরাং আপনার শিশুর পুষ্টি চাহিদা ডায়েটিশিয়ানের কাছে গিয়ে করুন।
বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ হয়ে ভুল বুঝে না।
যাই হোক- জীবনের প্রথম ৬ মাস মায়ের দুধের কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু বছরের পর বছর যদি বাচ্চা কে সাপ্লিমেন্টারি ফুড না দিয়ে দুধের উপর নির্ভরশীল করে ফেলেন ,
তাহলে “মিল্ক ইঞ্জুরি” নামক রোগের শিকার হতে পারে আপনার বাচ্চা। সেই বাচ্চা ফুলাফাপা থাকবে (edematous) প্রোটিনের অভাবে।
কিন্তু ভিতর দিয়ে সব ধরনের নিউট্রিশনাল ডেফিসিয়েন্সি তে ভুগবে। তখন কই যাইবো গিয়া টলার স্ট্রংগার শার্পার।
# বিজ্ঞাপন মানুষের মাথায় ভুত হিসেবে ঢুকছে। আপনার বিবেচনা ও বিবেককে নষ্ট করে দিচ্ছে। সচেতন
হোন নিজের জন্য । নিজের সন্তানের জন্য।
No comments