Breaking News

সাহিত্যের ইতিহাস-আধুনিক যুগ -উপন্যাস 
..............................................................................................................................................................
 ১.বাংলা সাহিত্যে তিন বন্দ্যোপাধ্যায়। 
  • বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়  -১৮৯৪-১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ। 
  • তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়-১৯৯৮-১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ। 
  • মানিক  বন্দ্যোপাধ্যায়-১৯০৮-১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দ।

বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধায় -১৮৯৪-১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ
  1. লেখকের জন্ম -নদীয়া জেলার ঘোষপাড়া মুরতিপুর গ্রাম। মায়ের বাড়িতে। পৈত্রিক নিবাস ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর গ্রাম। পিতা-মহানন্দ মাতা-মৃণালিনী দেবী।
  2. সাহিত্য জীবন - প্রথম ছোটো  গল্প-``উপেক্ষিতা ''-১৩২৮ বঙ্গাব্দ -``প্রবাসী'' পত্রিকা।
''পথের পাঁচালী ''- ১৯২৯ -এ প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের কহিতে আছে -অপু নামের একটি ছেলের জীবন কাহিনী। একদিকে তার প্রকৃতি প্রেম -গ্রাম নিশ্চিন্দিপুরের প্রতি আকর্ষন অন্য দিকে বাইরের পৃথিবীকে দেখার ইচ্ছা। অপুর সঙ্গে সঙ্গ দিয়েছেন - দিদি -দূর্গা ,পিতা-হরিহর ,মাতা -সর্বজয়া  এবং পিসি ইন্দিরঠাকরুণ।
কাব্যটির ৩ টি অংশ -
  1. ব্ল্লালীবলাই -অপুর পূর্ব বংশের পরিচয়। 
  2. আম আটির ভেঁপু-অপুর গ্রাম্য জীবনের আলোচনা। 
  3. অক্রুর সংবাদ-দিদিকে হারিয়ে পিতা-মাতার সঙ্গে কাশি যাত্রা।
উপন্যাসটিতে -নতুনত্ব 
  1. বাংলার প্রকৃতির বর্ণনা। 
  2. গ্রাম্য মানব জীবনের বিচিত্ররূপ। 
  3. শিশু মনের কল্পনাচরিতা।  
``অপরাজিতা''-  ১৯৩২ সালে প্রকাশ।এটিকে  'পথের পাঁচালী ' -র পরবর্তী অংশ হিসাবে ধরা হয়। অপুর কৈশর ও যৌবনের কাহিনী বর্ণিত। অপর্ণার সঙ্গে অপুর  বিয়ে,অপুর কলকাতার জীবন , পুত্র কাজলের জন্ম ও অপর্ণার মৃত্যু,সবশেষে পুত্র কাজলকে ছোট বেলার সাথী রানুদির কাছে নিশ্চিন্দিপুরে রেখে অপু বের হয় বহির্বিশ্ব ভ্রমণে।

আরণ্যক -   প্রকাশকাল ১৯৩৯সাল। 

সত্যচরণ স্কুল মাস্টারের চাকরি খুইয়ে কলকাতায় আসে এবং ধনী জমিদার বন্ধুর ম্যানেজার পদে যোগ দেয়। উত্তর বাংলা ও বিহারের সীমানায় গঙ্গার ধারে  জঙ্গল মহলের জমি , জমিহীন লোকেদের মধ্যে জমি বিলির জন্য সত্যচরণ  সেখানে যায়।জনগণ অরণ্য ধ্বংস করে বসতি স্থাপন শুরু করে। সত্যচরণ অরণ্য ধ্বংসের জন্য নিজেকে দায়ী মনে করে।
 যে কারণে  উপন্যাসটি বিখ্যাত -

  1. বনাঞ্চলের নৈসর্গীক দৃশ্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। 
  2. উপন্যাসের কাহিনীর মধ্যে রয়েছে অরণ্যবাসী মানুষের  ছোট ছোট  ঘটনার প্রবাহ ধারা।
  3. নৃত্য  শিল্পী বালক ধাতুরিয়া তরুণী ভানুমতী  সাঁওতাল রাজ ধব্রু পান্না -চরিত্রগুলি অরণ্যের জীব-জন্তুর মতই সহজ সরল।
  4. বোমাইবুরুর জঙ্গলে -অল্প বয়সী জিনপরী -`ডামাবানু। মহিষের দেবতা -`টারবারো' প্রভৃতি লোকদেবতার কল্পনা সুন্দর। 
  5. লেখক ভূমিকায় বলেছেন ``ইহা ভ্রমণবৃতান্ত বা ডায়েরী  নহে ,উপন্যাস। ''-কিন্তু আঙ্গিকের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ইহা -ডায়েরী ,ভ্রমণকথা ও আত্ম - জীবনী মূলক উপন্যাসের মিশ্রণ। 
`ইছামতী' - ১৯৫০ সালে প্রকাশ।কয়েকটি চরিত্র হল-
  1. ব্যবসায়ী লালু পাল 
  2. গ্রাম্য বধূ তুলসী 
  3. কুঠির কর্মচারী প্রসন্ন চক্রবতী। 
যে কারণে  উপন্যাসটি বিখ্যাত -
  1. `ইছামতি' নদীর সাথে সম্পর্ক যুক্ত একটি কাহিনির মধ্য দিয়ে একটি বিশেষ কাল-১৮৬৩-৬৪-র আর্থ -সামাজিক অবস্থা তুলে ধরেছেন। 
  2. আঙ্গিক নির্মাণের একটি গঠনগত দিক হল -উপন্যাসটিতে  কোনো পরিচ্ছদ বিভাগ নেই। 
  3. ঐতিহাসিক ঘটনার সহিত যুক্ত তিতুমীর ,ঝাঁসীর রানী লক্ষ্মীবাঈ,লর্ড মেয়ো ,ছোটলাট স্যার উইলিয়াম গ্রে চরিত্র প্নম এখানে রয়েছে। আবার নীলবিদ্রোহ।,পাঠান কর্তৃক লর্ড মেয়ো হত্যা ,স্যার জন লরেন্সের জাহাজডুবি,গ্রাম অঞ্চলে রেললাইন স্থাপন প্রভৃতি ঘটনা রয়েছে।
  4. লোকসংস্কৃতির চিহ্ন  হিসেবে গান ও প্রবাদ প্রবচন লক্ষ্য করা যায়। 
Picture For Idea
চাঁদের পাহাড় -১৯৩৭
 এটি শিশুসাহিত্য মূলক রচনা। আফ্রিকার জঙ্গলে নায়ক 
অনান্য উপন্যাস -
  •  আদর্শ হিন্দু হোটেল -১৯৪০
  • বিপিনের সংসার -১৯৪১
  • দেবযান -১৯৪৪
  • অথৈ জল-১৯৪৭
  • অশনি সংক্ষেত -১৯৫৯ প্রভৃতি। 
ভ্রমণ কাহিনী 
  1.  অভিযাত্রিক -১৯৪১
  2. বনেপাহাড়ে -১৯৪৫
ডায়েরি /দিনলিপি 
  •   হে অরণ্য কথা কও -১৯৪৮







তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়-১৯৯৮-১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ। 
 জন্ম - ১৮৯৮ সাল। 
সাহিত্য চর্চা-
  • `পূর্নিমা '-পত্রিকায় প্রকাশিত `স্রোতের কুটো ' ও` উল্কা '--(১৩৩৪ বঙ্গাব্দ) 
  • `কল্লোল '-পত্রিকায় প্রকাশিত `রসকলি '--(১৩৩৪ বঙ্গাব্দ) গল্প তিনটির মধ্য দিয়ে সাহিত্য জগতে প্রবেশ। 
উপন্যাস -তারাশংকরের উপন্যাসের  তিনটি বিষয় হচ্ছে -
  1. ক্ষযিশ্নু জমিদার পরিবারের সঙ্গে উঠতি ব্যবসায়ী পরিবারের মর্যাদা লাভের দ্বন্দ। 
  2. রাঢ, অঞ্চলের অপরিচিত অন্ত্যজ মানুষের জীবন চিত্র। 
  3. পরাধীন দেশকে স্বাধীন করার উদ্দ্যশ্যে বিভিন্ন বিপ্লববাদকে সমর্থনের ইঙ্গিত বহন। 
১৯২৮-১৯৩১ সাল আইন অমান্য আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী রূপে কারাবাস। এই সময়টি ছিল লেখক হিসাবে প্রস্তুতির সময়।   
  • `চৈতালী  ঘূর্ণি '-(১৯৩১সাল )-প্রথম উপন্যাস। চৈত্র  মাসের সামান্য ঘূর্ণি বৈশাখী ঝড়ের আগমনের সূচনার ইঙ্গিত বহন করে। সেই আলোকেই শ্রমিকদের ধর্মঘট্ ও পারস্পরিক দ্বন্দ্ব  আগামীর বিশাল বিপ্লবের  ইঙ্গিত বহন করে।এখানে আছে মাটি ও মনুষের  প্রতি মমতা এবং জমিদার ও সংঘর্ষ চিত্র। জমিদারের অত্যাচারে কৃষক গ্রাম ত্যাগ করে শহরের কারখানার শ্রমিকে রুপান্তরিত হয়।
  • `পাষানপুরী''-১৯৩৩
  • 'ধাত্রীদেবতা '-১৯৩৯ সাল-উপন্যাসের নায়ক শিবনাথ জমিদার সন্তান। কিন্তু পিসিমা সবসময় তাকে জমিদারী আভিজাত্য থেকে সরে এনে দেশ প্রেমের ভাবনায় উদ্দীপ্ত করে। 
  • `কালিন্দী '-১৯৪০ সাল 
  • `গণদেবতা' -১৯৪২ সাল -





মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬)

মোট উপন্যাস -৪১ টি...৩৫ টি জীবিত কালে ৪ টি প্রকাশিত হয়। 
ছোট  গল্প -২২২ টি। 
প্রথম উপন্যাস - জননী (১৯৩৫)


অন্যান্য উপন্যাস -
                      দিনরাত্রির কাব্য (১৯৩৫)
                      পুতুল নাচের ইতিকথা (১৯৩৬)
                       পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬)

পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬):-

উপন্যাসটিতে পূর্ব বাংলার পদ্মার দারিদ্র মাঝিদের জীবন কথা উঠে এসেছে। সঙ্গে  পদ্মার ভৌগলিক চিত্রও। 
উপন্যাসের নায়ক মাঝি কুবের। তাঁর অভাবে  জীবন  কাহিনীর পাশে গোপন প্রেমের কাহিনীটি সুন্দর-যার নায়িকা ময়না। এবং চাঁদ মিয়া হচ্ছেন  প্রভাবশালী ব্যাক্তি। 


    1. স্বাধীনতার স্বাদ -উপন্যাসে ১৯৪৬ এর কলকাতার দাঙ্গার চিত্র রয়েছে।
    2. মাঝির ছেলে -উপন্যাসে একটি মাঝির  ছেলের কথা রয়েছে। 



    No comments